মানবতার নতুন সংজ্ঞা: আজকের প্রজন্মের দায়বদ্ধতা

1 September 2025 • 21:35 0 মন্তব্য
মানবতার নতুন সংজ্ঞা: আজকের প্রজন্মের দায়বদ্ধতা

মানবতার নতুন সংজ্ঞা: আজকের প্রজন্মের দায়বদ্ধতা

 

প্রযুক্তি, ভোগবাদ নৈতিকতার দ্বন্দ্বের ভেতর মানবতার পুনর্জাগরণ
 

মানবতা কি হারিয়ে যাচ্ছে?
 

এক সময় মানবতা মানে ছিল—মানুষের প্রতি ভালোবাসা, সহানুভূতি ও ন্যায়বোধ। আজ প্রযুক্তির বিস্ফোরণ ও ভোগবাদের উন্মাদনায় মানবতা যেন বিলাসী আলোচনার বিষয়। প্রশ্ন জাগে—

আমরা কি উন্নত মানুষ হচ্ছি, নাকি সুবিধার যন্ত্রে পরিণত হচ্ছি?

 

প্রযুক্তির আলো, নৈতিকতার অন্ধকার

• কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব—সবই মানবজীবনকে পাল্টে দিচ্ছে।

• কিন্তু প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, হৃদয়ের মানবতা কি একই গতিতে বাড়ছে?

• স্মার্টফোন আমাদের সংযুক্ত করছে, আবার একাকিত্বও বাড়িয়ে দিচ্ছে।

• ভোগবাদ আর নৈতিক অবক্ষয়ের দৌড়ে মানবতার মূল সত্ত্বা ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

 

আজ মানুষের হাতে শক্তি আছে, কিন্তু সেই শক্তির সঙ্গে দায়িত্ব কি আছে?

 

মানবতার মৌলিক চাহিদার পুনঃসংজ্ঞা

 

মানুষ শুধু খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের জন্য বাঁচে না। মানুষের প্রয়োজন—

• মর্যাদা,

• ন্যায়বিচার,

• সহানুভূতি,

• অর্থবোধক সম্পর্ক।

 

আজ আমরা ‘লাইক’ ও ‘ফলোয়ার’-এর পেছনে ছুটি, অথচ প্রকৃত সংযোগ হারিয়ে ফেলি। মানবতার আসল চাহিদা—আত্মিক উন্নয়ন, বিবেকের মুক্তি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা।
 

আজকের প্রজন্মের করণীয়

প্রযুক্তিকে কল্যাণের হাতিয়ার করা, কেবল ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়।

সচেতন ভোগ, প্রকৃতি ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি না করে জীবনযাপন।

নৈতিকতা ও মানবিকতার চর্চা, বক্তৃতায় নয়—কাজে।

অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং সঠিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা।
 

দায়িত্বশীল নাগরিক মানে শুধু আইন মানা নয়—নিজেকে এমনভাবে গড়ে তোলা যাতে অন্যের জীবনেও আলো ফেলে।

 

শেষ কথা

 

মানবতার নতুন সংজ্ঞা লেখার ক্ষমতা আজকের প্রজন্মের হাতে। প্রযুক্তি বা ভোগবাদ থামানো যাবে না, কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রণ সম্ভব—যদি বিবেক জাগ্রত থাকে।
 

আজকের প্রজন্মের হাতে শুধু স্মার্টফোন নেই—আছে ভবিষ্যতের মানচিত্র।

প্রশ্ন একটাই—তোমরা কি মানবতাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করতে প্রস্তুত?

কলাম
0
জন পছন্দ করেছেন

মন্তব্য (0)

কোনো মন্তব্য নেই